•সন্তান জন্মদানকালে এসব মা ও তাঁদের সন্তানের মৃত্যুঝুঁকির
মাত্রা পরিণত বয়সী মায়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।
তথ্যগুলো নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। বাল্যবিবাহ ও সহিংসতা আমাদের দেশে মেয়েশিশুদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে বিকশিত হতে পারছে না। ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পথঘাট, বিনোদনকেন্দ্র—আমাদের সমাজের কোনো স্থানই যেন মেয়েশিশুর জন্য নিরাপদ নয়। আইন, পুলিশ, প্রশাসন, সমাজ—কেউই মেয়েশিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না। যদিও শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ।
ভবিষ্যতের এই নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে মেয়েশিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের মুক্ত মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মেয়েশিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। তারা যেন নিজ নিজ মেধা ও যোগ্যতায় সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
এ জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগ। আমরা চাই, মেয়েশিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমাজের সবাই যে যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করুক। অভিভাবক, নাগরিক, প্রশাসন—সবাই সচেতন ও সোচ্চার হোক। এরই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে যৌথভাবে একটি আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও ২০টি জেলায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। আমাদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগের মাধ্যমে মেয়েশিশুরা আরও সচেতন, উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে; মেয়েশিশুর নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে; সর্বোপরি এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রশাসন এ ব্যাপারে আরও দায়বদ্ধ ও সক্রিয় হয়ে উঠবে।
বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েশিশুদের বিকাশের পথে যৌন হয়রানি একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যৌন হয়রানির কারণে অনেক মেয়ের চলাচল ও লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে, অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। এমনও দেখা যাচ্ছে যে যৌন হয়রানিতে বাধা পেয়ে মেয়েদের অভিভাবকদের ওপর হামলা-নির্যাতন করা হচ্ছে। অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। এগুলো খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
যারা মেয়েদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে, অভিভাবকদের সুখ-শান্তি-স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে, এমনকি প্রতিবাদকারীকে হত্যা পর্যন্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে আজ সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য—
১. কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক জাগরণ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে;
২. হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও সংস্থায় যৌন হয়রানি প্রতিকার কমিটি গঠন করতে হবে;
৩. যৌন হয়রানি/উত্ত্যক্তকরণ প্রতিকার, প্রতিরোধে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সংস্থাকে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা মনিটরিংয়েরও ব্যবস্থা থাকা দরকার;
৪. পাশাপাশি যৌন হয়রানি প্রতিকার বা প্রতিরোধের ইতিবাচক ঘটনাগুলোকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা মনে করি, আমাদের সমাজে এখনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অনেক বেশি, উত্ত্যক্তকারী অপরাধীদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। সবাই মিলে রুখে দাঁড়ালে সমাজ থেকে এই অপরাধীদের নির্মূল করা মোটেও কঠিন নয়। আসুন, আমরা শপথ উচ্চারণ করি, আমাদের দেশে যেন আর একটি মেয়েও নির্যাতন ও হয়রানির শিকার না হয়, এ জন্য আর কাউকেই যেন প্রাণ হারাতে না হয়।
প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে যৌথভাবে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রচারাভিযান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক মূলত সামাজিক সচেতনতা ও নাগরিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির কাজটিই করতে চেয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার এই যাত্রায় যাঁরা সঙ্গী হয়েছেন, হবেন, তাঁদের সবার জন্য রইল শুভকামনা।
তথ্যগুলো নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। বাল্যবিবাহ ও সহিংসতা আমাদের দেশে মেয়েশিশুদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে বিকশিত হতে পারছে না। ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পথঘাট, বিনোদনকেন্দ্র—আমাদের সমাজের কোনো স্থানই যেন মেয়েশিশুর জন্য নিরাপদ নয়। আইন, পুলিশ, প্রশাসন, সমাজ—কেউই মেয়েশিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না। যদিও শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ।
ভবিষ্যতের এই নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে মেয়েশিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের মুক্ত মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মেয়েশিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। তারা যেন নিজ নিজ মেধা ও যোগ্যতায় সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
এ জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগ। আমরা চাই, মেয়েশিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমাজের সবাই যে যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করুক। অভিভাবক, নাগরিক, প্রশাসন—সবাই সচেতন ও সোচ্চার হোক। এরই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে যৌথভাবে একটি আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও ২০টি জেলায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। আমাদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগের মাধ্যমে মেয়েশিশুরা আরও সচেতন, উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে; মেয়েশিশুর নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে; সর্বোপরি এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রশাসন এ ব্যাপারে আরও দায়বদ্ধ ও সক্রিয় হয়ে উঠবে।
বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েশিশুদের বিকাশের পথে যৌন হয়রানি একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যৌন হয়রানির কারণে অনেক মেয়ের চলাচল ও লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে, অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। এমনও দেখা যাচ্ছে যে যৌন হয়রানিতে বাধা পেয়ে মেয়েদের অভিভাবকদের ওপর হামলা-নির্যাতন করা হচ্ছে। অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। এগুলো খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
যারা মেয়েদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে, অভিভাবকদের সুখ-শান্তি-স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে, এমনকি প্রতিবাদকারীকে হত্যা পর্যন্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে আজ সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য—
১. কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক জাগরণ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে;
২. হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও সংস্থায় যৌন হয়রানি প্রতিকার কমিটি গঠন করতে হবে;
৩. যৌন হয়রানি/উত্ত্যক্তকরণ প্রতিকার, প্রতিরোধে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সংস্থাকে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা মনিটরিংয়েরও ব্যবস্থা থাকা দরকার;
৪. পাশাপাশি যৌন হয়রানি প্রতিকার বা প্রতিরোধের ইতিবাচক ঘটনাগুলোকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা মনে করি, আমাদের সমাজে এখনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অনেক বেশি, উত্ত্যক্তকারী অপরাধীদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। সবাই মিলে রুখে দাঁড়ালে সমাজ থেকে এই অপরাধীদের নির্মূল করা মোটেও কঠিন নয়। আসুন, আমরা শপথ উচ্চারণ করি, আমাদের দেশে যেন আর একটি মেয়েও নির্যাতন ও হয়রানির শিকার না হয়, এ জন্য আর কাউকেই যেন প্রাণ হারাতে না হয়।
প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে যৌথভাবে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রচারাভিযান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক মূলত সামাজিক সচেতনতা ও নাগরিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির কাজটিই করতে চেয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার এই যাত্রায় যাঁরা সঙ্গী হয়েছেন, হবেন, তাঁদের সবার জন্য রইল শুভকামনা।
thanks
ReplyDelete