ফেসবুকের লাইভ ভিডিও জাকারবার্গের খুব পছন্দ
ফেসবুকের নতুন সুবিধা ‘লাইভ ভিডিও’। নতুন এই সুবিধাটি গত কয়েক মাস ধরে অ্যাপলের আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য ছাড়া হয়েছে। এবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোনগুলোর জন্যও সুবিধাটি চালু করা হয়েছে। শুক্রবার জার্মানির
বার্লিনে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানিয়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা
ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি
উচ্ছ্বসিত, লাইভ ভিডিও সেসবের একটি।’
জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমরা এমন এক জগতে প্রবেশ করতে চলেছি, যেখানে ভিডিও হবে আমাদের প্রচারিত মূল বিষয়বস্তু। ভিডিওর মাধ্যমেই আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা, ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়গুলো গোটা দুনিয়াকে জানাব। অবশ্যই, এর মধ্য দিয়ে ফেসবুকের নতুন এক যুগ শুরু হতে চলেছে।’
জাকারবার্গ জানান, টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মতো করে নিজের ভাবনাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করার এই সুবিধা সবার হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার এই মাধ্যমটি হবে ‘খুবই শক্তিশালী’। এই সুবিধাটি চালু করার মধ্য দিয়ে মূলত আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের পেরিস্কোপ ও মিরক্যাটকেই অনুকরণ করল ফেসবুক।
শুক্রবারের ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্বে জাকারবার্গ আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। অপ্রীতিকর মন্তব্যের কোনো জায়গা ফেসবুকে নেই—এমনটা জানিয়ে জাকারবার্গ বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি নিখুঁত নয়, কিন্তু অপ্রীতিকর মন্তব্য খুঁজে বের করে শনাক্ত করতে ফেসবুক বদ্ধপরিকর।
জাকারবার্গ স্বীকার করে নিয়েছেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া দরকার। ফেসবুক তাদের গ্রাহকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চায় এবং সরকার ও হ্যাকারদের হাত থেকেও নিরাপদ রাখতে চায়।
ফেসবুকের না হয়ে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলে কী হতো? এমন প্রশ্নের জবাবে মৃদু হেসে জাকারবার্গ দর্শকদের স্মরণ করিয়ে দেন, ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে একই সঙ্গে তারকাদের এবং সাধারণের অপরিমার্জিত বস্তু শেয়ার করার বড় সুযোগ করে দিয়েছে। আর ইনস্টাগ্রাম নিজেই টুইটারের চেয়ে বড়।
আয়রন ম্যান ছবির জার্ভিসের মতো একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর চরিত্র তৈরি করার লক্ষ্য আছে জাকারবার্গের। যদিও অনেকে এটি নিয়ে চিন্তিত, কিন্তু এটা তাঁকে ভাবাচ্ছে না মোটেও। জাকারবার্গের মতে, নিজের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ভিডিওর পরের ধাপটা হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি। তবে লাইকের স্থানে নানা ধরনের আবেগের অভিব্যক্তির প্রচলন দেখে ধারণা করা যায়, ‘ডিজলাইক’ বাটনও মনে হয় আসছে অচিরেই। বিজ্ঞাপনের মানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও তাঁর মাথায় আছে।
সিনেট অবলম্বনে দেব দুলাল গুহ
জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমরা এমন এক জগতে প্রবেশ করতে চলেছি, যেখানে ভিডিও হবে আমাদের প্রচারিত মূল বিষয়বস্তু। ভিডিওর মাধ্যমেই আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা, ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়গুলো গোটা দুনিয়াকে জানাব। অবশ্যই, এর মধ্য দিয়ে ফেসবুকের নতুন এক যুগ শুরু হতে চলেছে।’
জাকারবার্গ জানান, টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মতো করে নিজের ভাবনাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করার এই সুবিধা সবার হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার এই মাধ্যমটি হবে ‘খুবই শক্তিশালী’। এই সুবিধাটি চালু করার মধ্য দিয়ে মূলত আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের পেরিস্কোপ ও মিরক্যাটকেই অনুকরণ করল ফেসবুক।
শুক্রবারের ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্বে জাকারবার্গ আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। অপ্রীতিকর মন্তব্যের কোনো জায়গা ফেসবুকে নেই—এমনটা জানিয়ে জাকারবার্গ বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি নিখুঁত নয়, কিন্তু অপ্রীতিকর মন্তব্য খুঁজে বের করে শনাক্ত করতে ফেসবুক বদ্ধপরিকর।
জাকারবার্গ স্বীকার করে নিয়েছেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া দরকার। ফেসবুক তাদের গ্রাহকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চায় এবং সরকার ও হ্যাকারদের হাত থেকেও নিরাপদ রাখতে চায়।
ফেসবুকের না হয়ে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলে কী হতো? এমন প্রশ্নের জবাবে মৃদু হেসে জাকারবার্গ দর্শকদের স্মরণ করিয়ে দেন, ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে একই সঙ্গে তারকাদের এবং সাধারণের অপরিমার্জিত বস্তু শেয়ার করার বড় সুযোগ করে দিয়েছে। আর ইনস্টাগ্রাম নিজেই টুইটারের চেয়ে বড়।
আয়রন ম্যান ছবির জার্ভিসের মতো একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর চরিত্র তৈরি করার লক্ষ্য আছে জাকারবার্গের। যদিও অনেকে এটি নিয়ে চিন্তিত, কিন্তু এটা তাঁকে ভাবাচ্ছে না মোটেও। জাকারবার্গের মতে, নিজের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ভিডিওর পরের ধাপটা হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি। তবে লাইকের স্থানে নানা ধরনের আবেগের অভিব্যক্তির প্রচলন দেখে ধারণা করা যায়, ‘ডিজলাইক’ বাটনও মনে হয় আসছে অচিরেই। বিজ্ঞাপনের মানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও তাঁর মাথায় আছে।
সিনেট অবলম্বনে দেব দুলাল গুহ
No comments:
Post a Comment