উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা নেই।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রমের এ চিত্র আরো হতাশাজনক। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নেই। গবেষণায় পিছিয়ে থাকার কারণে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই দেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উচ্চশিক্ষার মান সন্তোষজনক নয়। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে পাবলিক ও বেসরকারি মিলে বর্তমানে ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের করা তালিকায় এশিয়ার সেরা একশ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানটি দখল করেছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মান, গবেষণাসহ কিছু মানদণ্ডের বিচারে তৈরি এ বছর এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থানভিত্তিক এ তালিকা প্রকাশ করে।
ইউজিসি বলছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের অধিকাংশই রাজধানীতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষাদান করেন। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান না তারা। তাই প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানসাপেক্ষে অপেক্ষাকৃত কম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেষণে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে ইউজিসির প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরেছে ইউজিসি। এতে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো এ খাতে অর্থ বরাদ্দ কম থাকা। দেশে উচ্চশিক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের মাত্র ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ বরাদ্দে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ন্যূনতম চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না।
No comments:
Post a Comment